ঢাকা ১১:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৫২:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০১৯
  • ১৮৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  গ্রামের মানুষকে যেন শহরে আসতে না হয়, সে কারণে গ্রামেই শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবাসহ বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, নগরায়নের লাগাম টেনে ধরছে বাংলাদেশ। দেশে যখন মানুষের স্রোত শহরমুখী, তখন সরকার নাগরিকদের গ্রামাঞ্চলেই থাকতে উৎসাহিত করার চেষ্টা করছে।

নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সাইড লাইনে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, শহরের ওপর থেকে চাপ কমাতে তার সরকার বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে।

শেখ হাসিনা ওয়ালস্ট্রিট জার্নালকে বলেন, বড় শহরগুলোতে জনসংখ্যা বাড়তে থাকাটা দেশের জন্য বড় একটি সমস্যা। ঢাকা এরই মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ শহরের স্বীকৃতি পেয়েছে। ঢাকায় প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ২৩ হাজার ২৩৪ জন মানুষ বাস করে। আমরা গ্রাম অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা তৈরি করলেও মানুষের মধ্যে এমন ধারণা এখনো বদ্ধমূল যে শহরেই শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বিনোদনের সুযোগ বেশি। তাই তাদের শহরে আসতে হবে।

এ পরিস্থিতিতে সরকার প্রতিটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে মেডিকেল ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করছে বলে জানান শেখ হাসিনা। এছাড়া, গ্রামের মানুষ যেন গ্রামে থেকেও অনলাইনে কাজ করার সুযোগ পায়, আমরা তেমন উদ্যোগও নিচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা প্রান্তিক এলাকাগুলোতেও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সুবিধা করে দিচ্ছি এবং তরুণদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। এর মাধ্যমে তারা গ্রামে বসেই অনলাইনে কাজ করে অর্থ উপার্জনের সুযোগ পেতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যেকার বাণিজ্য লড়াইয়ের প্রভাব, দারিদ্র্য মোকাবিলা ও নগরায়ন ব্যবস্থাপনায় সরকারের প্রচেষ্টা ও বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বাংলাদেশ সরকারের কৌশল নিয়েও ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আলোচনা করেন শেখ হাসিনা।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে যে বাণিজ্য লড়াই চলছে, বাংলাদেশের ওপর এর কী প্রভাব পড়তে পারে— ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, পোশাক খাতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে পোশাক অর্ডার করছেন বাংলাদেশে। ফলে এরই মধ্যে বাংলাদেশের পোশাক খাতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যেকার এই বাণিজ্য লড়াই চলতে থাকলে বাংলাদেশ এ থেকে লাভবানই হবে। বাংলাদেশ থেকে রফতানি করা তৈরি পোশাকের ওপর যুক্তরাষ্ট্র যে উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ করে রেখেছে, তা কমিয়ে দিলে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানির পরিমাণ আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি হবে।

বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) আকৃষ্ট করার বাংলাদেশ সরকারের কৌশল সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশে একশটি বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল (ইপিজেড) তৈরি করছি। যেকোনো দেশ বা ব্যবসায়ী ওইসব অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে গিয়ে শিল্প কারখানা স্থাপন করে ব্যবসা করতে পারবে। বিদেশি বিনিয়োগের জন্য আমার দেশের প্রায় সব খাতই উন্মুক্ত, পরিমাণগত কোনো বিধিনিষেধও নেই। শুধু তাই নয়, বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে আমরা ওয়ান স্টপ সার্ভিস আইন প্রণয়ন করেছি। এর মাধ্যমে একটি স্থান থেকে বিনিয়োগ সংক্রান্ত ৩১টি সেবা পাবেন ব্যবসায়ীরা।

কোনো কোনো বিনিয়োগকারী মনে করেন, বাংলাদেশে কার্যত একদলীয় শাসন চলছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা একটি বহুত্ববাদী সমাজ ব্যবস্থার অংশ। দেশের গণমাধ্যম অত্যন্ত শক্তিশালী এবং অত্যন্ত তৎপর একটি সুশীল সমাজও দেশে সক্রিয়। ফলে একদলীয় বিষয়টিরই কোনো অস্তিত্ব নেই দেশে। আপনারা দেখবেন, গত পাঁচ বছরে বড় ধরনের কোনো রাজনৈতিক অস্থিরতা দেশে ছিল না। দেশে শতাধিক রাজনৈতিক দল রয়েছে। এর মধ্যে ৪১টি দলই নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত। এর মধ্যে আবার ৩৮টি রাজনৈতিক দল সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে। ওই নির্বাচনে অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থীও লড়াই করেছেন।

বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার এখনো উচ্চ উল্লেখ করে দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারের পদক্ষেপের কথা জানতে চাইলে শেখ হাসিনা বলেন, আমি মনে করি, আমাদের প্রধান শত্রুই হলো দারিদ্র্য। তাই দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচিতে আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। এক্ষেত্রে আমরা চোখে পড়ার মতো অনেক উন্নতিও করেছি। দারিদ্র্যের হার ২০০৫-০৬ সালেও ৪১ দশমিক ৫ শতাংশ ছিল। কিন্তু বর্তমানে এই হার ২১ শতাংশে নেমে এসেছে। আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়েছি আমরা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্য দূর করতে আমরা সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচিতে বরাদ্দ বাড়িয়েছি। বর্তমানে দেশের প্রায় এক-চতুর্থাংশ পরিবারকে এই কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে সরকার এই কর্মসূচিতে প্রায় ৮৭০ কোটি মার্কিন ডলার (৭৪ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা) বরাদ্দ দিয়েছে, যা বাজেটের ১৪ দশমিক ২১ শতাংশ ও দেশের মোট জিডিপি’র ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ১০:৫২:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  গ্রামের মানুষকে যেন শহরে আসতে না হয়, সে কারণে গ্রামেই শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবাসহ বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, নগরায়নের লাগাম টেনে ধরছে বাংলাদেশ। দেশে যখন মানুষের স্রোত শহরমুখী, তখন সরকার নাগরিকদের গ্রামাঞ্চলেই থাকতে উৎসাহিত করার চেষ্টা করছে।

নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সাইড লাইনে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, শহরের ওপর থেকে চাপ কমাতে তার সরকার বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে।

শেখ হাসিনা ওয়ালস্ট্রিট জার্নালকে বলেন, বড় শহরগুলোতে জনসংখ্যা বাড়তে থাকাটা দেশের জন্য বড় একটি সমস্যা। ঢাকা এরই মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ শহরের স্বীকৃতি পেয়েছে। ঢাকায় প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ২৩ হাজার ২৩৪ জন মানুষ বাস করে। আমরা গ্রাম অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা তৈরি করলেও মানুষের মধ্যে এমন ধারণা এখনো বদ্ধমূল যে শহরেই শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বিনোদনের সুযোগ বেশি। তাই তাদের শহরে আসতে হবে।

এ পরিস্থিতিতে সরকার প্রতিটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে মেডিকেল ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করছে বলে জানান শেখ হাসিনা। এছাড়া, গ্রামের মানুষ যেন গ্রামে থেকেও অনলাইনে কাজ করার সুযোগ পায়, আমরা তেমন উদ্যোগও নিচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা প্রান্তিক এলাকাগুলোতেও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সুবিধা করে দিচ্ছি এবং তরুণদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। এর মাধ্যমে তারা গ্রামে বসেই অনলাইনে কাজ করে অর্থ উপার্জনের সুযোগ পেতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যেকার বাণিজ্য লড়াইয়ের প্রভাব, দারিদ্র্য মোকাবিলা ও নগরায়ন ব্যবস্থাপনায় সরকারের প্রচেষ্টা ও বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বাংলাদেশ সরকারের কৌশল নিয়েও ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আলোচনা করেন শেখ হাসিনা।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে যে বাণিজ্য লড়াই চলছে, বাংলাদেশের ওপর এর কী প্রভাব পড়তে পারে— ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, পোশাক খাতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে পোশাক অর্ডার করছেন বাংলাদেশে। ফলে এরই মধ্যে বাংলাদেশের পোশাক খাতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যেকার এই বাণিজ্য লড়াই চলতে থাকলে বাংলাদেশ এ থেকে লাভবানই হবে। বাংলাদেশ থেকে রফতানি করা তৈরি পোশাকের ওপর যুক্তরাষ্ট্র যে উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ করে রেখেছে, তা কমিয়ে দিলে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানির পরিমাণ আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি হবে।

বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) আকৃষ্ট করার বাংলাদেশ সরকারের কৌশল সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশে একশটি বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল (ইপিজেড) তৈরি করছি। যেকোনো দেশ বা ব্যবসায়ী ওইসব অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে গিয়ে শিল্প কারখানা স্থাপন করে ব্যবসা করতে পারবে। বিদেশি বিনিয়োগের জন্য আমার দেশের প্রায় সব খাতই উন্মুক্ত, পরিমাণগত কোনো বিধিনিষেধও নেই। শুধু তাই নয়, বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে আমরা ওয়ান স্টপ সার্ভিস আইন প্রণয়ন করেছি। এর মাধ্যমে একটি স্থান থেকে বিনিয়োগ সংক্রান্ত ৩১টি সেবা পাবেন ব্যবসায়ীরা।

কোনো কোনো বিনিয়োগকারী মনে করেন, বাংলাদেশে কার্যত একদলীয় শাসন চলছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা একটি বহুত্ববাদী সমাজ ব্যবস্থার অংশ। দেশের গণমাধ্যম অত্যন্ত শক্তিশালী এবং অত্যন্ত তৎপর একটি সুশীল সমাজও দেশে সক্রিয়। ফলে একদলীয় বিষয়টিরই কোনো অস্তিত্ব নেই দেশে। আপনারা দেখবেন, গত পাঁচ বছরে বড় ধরনের কোনো রাজনৈতিক অস্থিরতা দেশে ছিল না। দেশে শতাধিক রাজনৈতিক দল রয়েছে। এর মধ্যে ৪১টি দলই নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত। এর মধ্যে আবার ৩৮টি রাজনৈতিক দল সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে। ওই নির্বাচনে অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থীও লড়াই করেছেন।

বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার এখনো উচ্চ উল্লেখ করে দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারের পদক্ষেপের কথা জানতে চাইলে শেখ হাসিনা বলেন, আমি মনে করি, আমাদের প্রধান শত্রুই হলো দারিদ্র্য। তাই দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচিতে আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। এক্ষেত্রে আমরা চোখে পড়ার মতো অনেক উন্নতিও করেছি। দারিদ্র্যের হার ২০০৫-০৬ সালেও ৪১ দশমিক ৫ শতাংশ ছিল। কিন্তু বর্তমানে এই হার ২১ শতাংশে নেমে এসেছে। আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়েছি আমরা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্য দূর করতে আমরা সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচিতে বরাদ্দ বাড়িয়েছি। বর্তমানে দেশের প্রায় এক-চতুর্থাংশ পরিবারকে এই কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে সরকার এই কর্মসূচিতে প্রায় ৮৭০ কোটি মার্কিন ডলার (৭৪ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা) বরাদ্দ দিয়েছে, যা বাজেটের ১৪ দশমিক ২১ শতাংশ ও দেশের মোট জিডিপি’র ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ।